যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনদিনের ব্যবধানে চমকপ্রদ এক ঘোষণা এসেছে—ডোনাল্ড ট্রাম্প আসছেন বাংলাদেশে। লস অ্যাঞ্জেলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ট্রাম্প ফোর্স ওয়ানের বোয়িং ৭৫৭ প্রস্তুত। বিমানবন্দরের তথ্য অনুযায়ী, গন্তব্য ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। কেন হঠাৎ বাংলাদেশে? প্রশ্নটি ঘুরছে অনেকের মনে।
ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সেক্রেটারির সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, ট্রাম্পের বিজয়ের পেছনে বড় অবদান ছিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। নির্বাচনের পুরোটা সময় ট্রাম্প তার কাছ থেকে কৌশলগত পরামর্শ নিয়েছেন। শেখ হাসিনা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শদাতা হয়ে উঠেছিলেন যে, তিনি শেষের দিকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে পরামর্শ দেয়ার জন্য ভারতে অবস্থান নিয়ে ট্রাম্পকে সরাসরি সমর্থন দিয়ে গেছেন।
ঢাকার গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভাষ্যমতে, এই সমাবেশের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে শেখ হাসিনাকে তার গৌরবোজ্জ্বল স্থান ফিরিয়ে দেয়া। ট্রাম্পেরও পরিকল্পনা প্রস্তুত—তিনি শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশের মাটিতে অবতরণ করবেন। শেখ হাসিনাকে তার নায্য জায়গা বুঝিয়ে দিয়েই তবে হোয়াইট হাউজে গিয়ে উঠবেন। শেখ হাসিনাকে নিজের জায়গা বুঝিয়ে না দিয়ে শপথ নিবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে ট্রাম্প ও শেখ হাসিনার জন্য বিশাল মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। এয়ারপোর্টে নেমে ট্রাম্প যাবেন গোপালগঞ্জে। সেখানে শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত শেষে জিরো পয়েন্টের উদ্দেশে রওনা দেবেন। বিকেল চারটায় শেখ হাসিনার সাথে দুজন মঞ্চে ভাষণ দেয়ার কথা। জনজোয়ারের খবর পেয়ে পুলিশ, বিজিবি, এমনকি র্যাবও ঘাবড়ে গেছে বলা চলে। আওয়ামী নেতাদের আটকাতে যে চেকপোস্টগুলো বসানো হয়েছিলো সেগুলো তুলে নিয়েছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সবশেষে, ট্রাম্প এবং শেখ হাসিনা ইউসুফ সরকারের সাথে একত্রে একটি বৈঠকে মিলিত হবেন। ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি, ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি ভুলে গিয়ে, কীভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদে কাজ করা যায় সেটা নিয়েই আলাপ আলোচনা করবেন। ইউসুফ সরকার ও আওয়ামী সরকার উভয়কে খুশি করার জন্য যতটুকু যা করা দরকার সেটাও করতে প্রস্তুত বলে জানা গেছে।
নিজের একট ফেক টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশ সফর থেকে বিস্তারিত জানিয়েছেন ট্রাম্প। একটা টুইটে আওয়ামীলীগ ও শেখ হাসিনার বিশ্বমানবতার দূত আখ্যা দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ শেখ হাসিনার হাতে তুলে দিয়েই আমি আমেরিকা যাব। ১ বছর পর আমেরিকাও শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেব।