৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপনি বসে আছেন মাঠে। গরমে মাথা গরম সাথে মেজাজও। কোকাকোলা, মোজো খেয়েও মাথা ঠান্ডা হচ্ছে না। উল্টা ডিহাইড্রেশন হচ্ছে। প্রেমিক-প্রেমিকাদের ঝগড়া হবে হবে সিচুয়েশন, স্যারের মেজাজও তিরীক্ষে। গালিগালাজ করা বন্ধুটির গালিও বেড়ে গিয়েছে। বইয়ে বুদ হওয়া বন্ধু বই ছুঁড়ে ফেলেছে। গান গাওয়া বন্ধুর গলা দিয়ে গান আসছে না। সিচুয়েশন যখন এমন, হুট করে দেখলেন মাথার উপর ঝরঝর বৃষ্টির শব্দ! কেমন হবে বলুন তো? নাচবেন? গাইবেন? প্রেম করবেন? নাকি ইউয়াইইউর শিক্ষার্থীদের মতো ছাতা মাথায় ঘুরে বেড়াবেন?
সারাদেশের বুকে এমনই এক দুপুর কাটানোর সৌভাগ্য হয়েছে শুধুমাত্র রাজধানীর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বাসিন্দাদের। তবে, কিছু হতভাগা ইউয়াইইউতে পড়লেও ওইদিন ক্যাম্পাসে না যাওয়ার কারণে এই সৌভাগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
ক্যাম্পাসটিতে ২১ এপ্রিল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বাংলাদেশের সাথে একটা ওয়ার্কশপের অংশ হিসেবে এই বৃষ্টির ব্যবস্থা করা হয়। যদিও এটিকে পরিপূর্ণ বৃষ্টি বলা যায় কি না তা নিয়ে তর্ক থাকতে পারে। কিন্তু এই দাবদাহে ভাই কেউ ওপর থেকে চোখের পানি ফেললেও তাকে বৃষ্টিই মনে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থী, স্টাফ ও শিক্ষকদের বিল্ডিং ইভাকুলেশন প্র্যাক্টিস-এর ব্যবস্থা করে। সেটারই অংশ এই ফায়ার ফাইটিং ড্রিল। যেটি তপ্ত এক দুপুরে এখানকার বাসিন্দাদের একটু বুক ফুলিয়ে ‘আমার আছে জল’ বলার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
এদিকে ইউআইইউর এমন বৃষ্টিবিলাস দেখে ব্র্যাকের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এমন ফায়ার ফাইটিং ড্রিলের আবেদন করেছে। সম্পূর্ণ অবিশ্বস্থ একটি সূত্র থেকে এমনটাই জানিয়েছে এক ব্র্যাক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘একটা যদি ফায়ার ড্রিলিং নাই থাকলো, এমন খরার দিনে যদি একটু বৃষ্টি নাই পাইলাম, তাহলে কেন বেঁচে থাকা? কেন এই টার্ক? এরচেয়ে তো টার্কি মুরগি খেয়ে পড়ে থাকা ভালো। আমরা চাই, আমাদের টার্কেও এমন বৃষ্টির পরশের ব্যবস্থা করা হোক। নর্থ সাউথের আগে এবার আমরা বর্ষাবরণ করব।‘
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন